‘ওবায়দুল কাদের সাহেব চুপ করে বসে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেত পারবেন না’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি হোতে চান। আপনি বাংলাদেশের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। আপনার এলাকায় ত্যাগী কর্মীরা ঘরে শুতে পারেনা, তাদের গুলি খেতে হয়, তারা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আপনি সেখানে বসে কি করছেন? চুপ করে বসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেত পারবেন না।
‘শুনতে খারাপ লাগবে, কি করবেন আপনি। জেলে দিবেন, সেটার অভ্যাস আমাদের অনেক আগের আছে। আপনার থেকে বেশি খাটছি। মেরে ফেলবেন, কবরের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। আপনার কাছে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনি বলছেন আমাকে এখান দিয়ে দিও, আমি আপনার পাশে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনাকে ভালোবাসি, এখনো আপনি আমার রাজনৈতিক আদর্শ। এখনো কোম্পানীগঞ্জের নেতা কর্মীরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে। শনিবারের পর থেকে আর এই শ্রদ্ধা থাকবে না। স্পষ্ট ভাষায় বললাম। কি বুঝাতেন চান আপনি। আজকে আপনি একটা দুঃচরিত্র, মাদক সম্রাটকে আজকে আশ্রয় দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কেউ না থাকলে আমি আবদুল কাদের মির্জা রাস্তায় একা থাকবো, প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবো।’
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি নেতার কথা বলব না উনি কোনো রকমের কথাবার্তা বলছে না। আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলব, আপনারা কী জানেন আমি রাজাকারের সন্তান? ওবায়দুল কাদের সাহেব উনি বড় নেতা। উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে কোনভাবে নিয়েছে, আমি জানি না। আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না, আমাদেরকে কর্মসূচী পালন করতে দিচ্ছে না। রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমি কার খাই না পরি? আমরা কি কথা বলতে পারবো না। থামিয়ে দিবেন, থামিয়ে দিতে পারবেন না। একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। নোয়াখালী আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, একরাম চৌধুরীকে নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, লুটপাট করছে। আমাদের ত্যাগী কর্মীদের নানা ভাবে হয়রানি করছে। কেউ কি দেখার নেই। আগামী রবিবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আধাবেলা কোমপানীগরজ্ঞর সর্বত্র হরতাল। এবং এই হরতালের পরেই আমরা ঢাকা ভিত্তিক কর্মসূচী দিব। আমি ইতমধ্যে নোয়াখালীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখান থেকে কথা বললে নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছায় না। আজকে অনেকে বিক্রি হয়ে গেছে। যারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকে তারাও বিক্রি হয়ে গেছে। তারা সঠিক কথা তুলে ধরছে না। আমার পরিবারের কেউ রাজাকার ছিল বলেন? আমার আব্বা হেডমাস্টার ছিলেন। উনি কেলবকাটা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর পাশের রুমে থাকতেন।
‘শুনতে খারাপ লাগবে, কি করবেন আপনি। জেলে দিবেন, সেটার অভ্যাস আমাদের অনেক আগের আছে। আপনার থেকে বেশি খাটছি। মেরে ফেলবেন, কবরের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। আপনার কাছে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনি বলছেন আমাকে এখান দিয়ে দিও, আমি আপনার পাশে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনাকে ভালোবাসি, এখনো আপনি আমার রাজনৈতিক আদর্শ। এখনো কোম্পানীগঞ্জের নেতা কর্মীরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে। শনিবারের পর থেকে আর এই শ্রদ্ধা থাকবে না। স্পষ্ট ভাষায় বললাম। কি বুঝাতেন চান আপনি। আজকে আপনি একটা দুঃচরিত্র, মাদক সম্রাটকে আজকে আশ্রয় দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কেউ না থাকলে আমি আবদুল কাদের মির্জা রাস্তায় একা থাকবো, প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবো।’
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি নেতার কথা বলব না উনি কোনো রকমের কথাবার্তা বলছে না। আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলব, আপনারা কী জানেন আমি রাজাকারের সন্তান? ওবায়দুল কাদের সাহেব উনি বড় নেতা। উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে কোনভাবে নিয়েছে, আমি জানি না। আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না, আমাদেরকে কর্মসূচী পালন করতে দিচ্ছে না। রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমি কার খাই না পরি? আমরা কি কথা বলতে পারবো না। থামিয়ে দিবেন, থামিয়ে দিতে পারবেন না। একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। নোয়াখালী আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, একরাম চৌধুরীকে নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, লুটপাট করছে। আমাদের ত্যাগী কর্মীদের নানা ভাবে হয়রানি করছে। কেউ কি দেখার নেই। আগামী রবিবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আধাবেলা কোমপানীগরজ্ঞর সর্বত্র হরতাল। এবং এই হরতালের পরেই আমরা ঢাকা ভিত্তিক কর্মসূচী দিব। আমি ইতমধ্যে নোয়াখালীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখান থেকে কথা বললে নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছায় না। আজকে অনেকে বিক্রি হয়ে গেছে। যারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকে তারাও বিক্রি হয়ে গেছে। তারা সঠিক কথা তুলে ধরছে না। আমার পরিবারের কেউ রাজাকার ছিল বলেন? আমার আব্বা হেডমাস্টার ছিলেন। উনি কেলবকাটা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর পাশের রুমে থাকতেন।
তিনি আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব তাকে ক্ষমা করতে পারে। বারবার ওনার ক্ষমার কারণে সে আজকে এত বড় উদ্ধত্ব দেখাচ্ছে। এতবড় উদ্ধতা দেখিয়েছে, ‘ওবায়দুল কাদেরের গালে গালে জুতা মার তালে তালে’ এই স্লোগান কে দিয়েছিল নোয়াখালী অফিসের সামনে? একরামুল করিম চৌধুরী দিছে না? তারপরে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে একরামুল কাদের চৌধুরী। করে নাই? আমাকেও গালিগালাজ করেছে। আমি বাড়িতে ভাত খেতে বসেছি, সে আমাকে মোবাইলে গালিগালাজ করেছে। আমি উত্তর দিয়েছি। এই একরাম সেই একরাম যে ৯৬ সালে বসুরহাট আমাদের আওয়ামী লীগের যে অফিস সে অফিসে রেস্ট নিতাম, সে আমার পায়ের নিচে বসে জিজ্ঞাসা করেছে, মির্জা ভাই ভোটের অবস্থা কেমন। তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক স্কেন্ডাল আছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমূখ।
আবু সাঈদ শাকিল/এনপি/বাংলাপত্রিকা
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমূখ।
আবু সাঈদ শাকিল/এনপি/বাংলাপত্রিকা
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন